শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ
নিত্যনতুন ডিজাইন, শিপ আপগ্রেড ও মেরামতের কাজই হচ্ছে একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারের কাজ। শিপবিল্ডিং-এর কাজকে সাধারণত সাত ভাগে ভাগ করা যায়। ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন, প্ল্যানিং, ওয়ার্কপ্রিয়র টু কিল লায়িং, শিপ ইরেকশন, লঞ্চিং, ফাইনাল আউটফিটিং, সি-ট্রায়ার। সকল ধাপে জাহাজের ডিজাইন ইভালুয়েশন এবং ক্যালকুলেশন করা, কনভারশন রিভল্বিং, মডার্নাইজেশন এবং জাহাজ রিপেয়ারিং ও শিপবিল্ডিং-এর আওতাভুক্ত।
কেন শিপবিল্ডিং টেকনোলজিতে পড়বেন?
শিপবিল্ডিং টেকনোলজি একটি বাস্তবমূখী প্রযুক্তি, যা বিশ্বের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। একজন ছাত্র নিঃ সন্দেহেই শিপবিল্ডিং টেকনোলজি কে বেছে নিতে পারে, যার কারন গুলো হলঃ
বিভিন্ন টেকনোলজির জ্ঞানঃ শিপবিল্ডিং এমন একটি টেকনোলজির যেখানে শিপবিল্ডিং টেকনোলজির সাথে সাথে বিভিন্ন টেকনোলজি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ থাকে, কারন এই টেকনোলজি একআধারে শিপবিল্ডিং, মেরিন, মেকানিক্যাল, আর্কিটেকচার, সিভিল ও সার্ভেয়িং টেকনোলজি সমন্বয়ে গঠিত।
অসংখ্য কর্মক্ষেত্রঃ বিভিন্ন টেকনোলজিতে জ্ঞান থাকা কারনে, একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অসংখ্য কর্মক্ষেত্র থেকে পছন্দ মত তার ক্যারিয়ার গড়তে করতে পারবেন, যা শিপবিল্ডিং সহ গুটি কয়েক টেকনোলজি তেই সম্ভব। অসংখ্য বেসরকারী, সরকারী তথা মন্ত্রনালয়ের মত কর্মস্থলে তো চাকুরীর সুযোগ থাকছেই, এছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বিভিন্ন সামরিক পদে আবেদন করতে পারবেন। নৌবাহিতেই বিভিন্ন বেসামরিক পদেও আবেদন করা যায়। ডিজাইন হাউজে, জাহাজের নকশা তৈরীতেও শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার-রাই তুলনাহীন ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।
গেজেটঃ এটি একটি গেজেটে প্রাপ্ত টেকনোলজি।
কর্মস্থলঃ একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার শুধু মাত্র বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই তার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। বাংলাদেশের হাজার হাজার শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সিঙ্গাপুর, নরওয়ে ইত্যাদির মত দেশগুলো তে চাকুরীরত আছেন।
নিজস্ব ওয়ার্কিং সেক্টরঃ শিপবিল্ডিং টেকনোলজির বাংলাদেশেই আছে অসংখ্য শিপইয়ার্ড , ডকইয়ার্ড, BIWTA, BIWTC, BSC এর মত নিজস্ব ওয়ার্কিং সেক্টর।
অন্যান্য ওয়ার্কিং সেক্টরঃ একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার কোর্স শেষে শিপবিল্ডিং এর নিজস্ব ওয়ার্কিং সেক্টর ছাড়াও আরো বিভিন্ন ওয়ার্কিং সেক্টরে কাজ করতে পারবেন, যেমনঃ বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড, কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রী, পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদি।
আকর্ষনীয় বেতনঃ একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারই পারেন তার দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেকে আকর্ষনীয় বেতনভুক্ত করতে।
শিপবিল্ডিং টেকনোলজির কর্মক্ষেত্র
কোর্স কমপ্লিট করার পর শিপ ডিজাইন ও শিপ কন্সট্রাকশন ফিল্ডের যে কোন সেকশনে কাজ করতে পারেন একজন শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং। শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের ধরনের উপর বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকে। শিপবিল্ডিং বিভাগ থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের যে সব কর্মক্ষেত্রে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে সেগুলো হলোঃ
- বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন শিপবিল্ডিং ডিজাইন হাউজ। উল্লেখযোগ্য কিছু ডিজাইন হাউজ গুলো হলঃ মেরিন হাউজ লিঃ, রেডিয়্যান্ট, বেঙ্গল মেরিনে অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস, থ্রী অ্যাঙ্গেল, বে-টেক, ইত্যাদি।
- বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন বেসরকারী শীপ ইয়ার্ড। উল্লেখযোগ্য কিছু বেসরকারী শীপ ইয়ার্ড গুলো হলঃ আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড শ্লিপওয়ে লিঃ, ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপইয়ার্ড লিঃ, থ্রী অ্যাঙ্গেল মেরিন লিঃ, রেডিয়েন্ট শিপইয়ার্ড লিঃ, বসুন্ধরা স্টীল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ সিংগাপুরে আছে সেম্বাওয়াং শিপইয়ার্ড ইত্যাদি।
- বাংলাদেশ বিভিন্ন সরকারী শীপ ইয়ার্ড। উল্লেখযোগ্য কিছু সরকারী শীপ ইয়ার্ড গুলো হলঃ খুলনা শিপইয়ার্ড লিঃ, নারায়ণগঞ্জের ডকইর্য়াড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ, চিটাগং ড্রাই ডক লিঃ ইত্যাদি।
- বিভিন্ন ড্রাই ডক, গ্যাস ক্ষেত্র ও পাওয়ার প্ল্যান্ট।
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন চলাচলরত জাহাজ।
- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BIWTA)।
- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন করপোরেশন (BIWTC)।
- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (BSC)।
- বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বিভিন্ন বেসামরিক পদ।
- বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বিভিন্ন সাব - অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদ।
- বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার।
- মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তর।
- এছাড়াও বিভিন্ন কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রীতে সাব - অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদ।
কর্মক্ষেত্রে MASI শিপবিল্ডিং টেকনোলজির ছাত্রদের অবস্থান
- শীর্ষ শিপইয়ার্ড গুলোতে সাব - অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান।
- শীর্ষ ডিজাইন হাউজে এ সাব - অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ইন ডিজাইনিং পদে যোগদান।
- শীর্ষ পাওয়ার প্ল্যান্ট গুলোতে সাব - অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান।
- বিভিন্ন কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রী তে সাব - অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগদান।
- বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ল্যাব ইন্সট্রাক্টর পদে চাকুরীরত ।
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন চলাচলরত বিভিন্ন জাহাজে বিভিন্ন পদে চাকুরীরত ।
কোর্স শেষে আমাদের ইনস্টিটিউট এর ছাত্র রা যে সকল কর্ম ক্ষেত্রে যোগদান করেছে সেখান থেকে কিছু কম্পানির নাম উল্লেখ করা হলঃ
- ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপইয়ার্ড লিঃ
- মেরিন হাউজ লিঃ
- বেঙ্গল মেরিনে অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস
- বে-টেক
- সেম্বাওয়াং শিপইয়ার্ড, সিংগাপুর
- নারায়ণগঞ্জের ডকইর্য়াড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ
- MASI,নারায়ণগঞ্জের
- থ্রী অ্যাঙ্গেল মেরিন লিঃ
- আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড শ্লিপওয়ে লিঃ
- নন ডেস্ট্রাক্টিভ টেস্ট কম্পানি
- এছাড়াও আরো অনেক।
কেন MASI শিপবিল্ডিং বিষয়ে পড়বেন?
- বিটিইবি কর্তৃক অনুমোদিত ১ম সারির বেসরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
- অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পাঠ দান। ক্লাস মনিটরিং ও ক্লাস টেস্টের সুব্যাবস্থা।
- সল্প খরচ এ লেখা পড়ার সুযোগ।
- বিশ্ব ব্যাংক হতে বৃত্তি প্রদান।
- রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি প্রদান।
- মাল্টিমিডিয়া সুবিধা সম্পন্ন ক্লাস রুম।
- সুসজ্জিত ও আধুনিক মেকানিক্যাল ও মেরিন ল্যাব।
- পর্যাপ্ত পরিমানের অত্যাধুনিক সফটওয়্যার ইন্সটলড কম্পিউটার দ্বারা সুগঠিত ল্যাব, যেখানে পাওয়া যাবে শিপবিল্ডিং ডিজাইনিং শিক্ষার সুবিধা।
- শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত ক্লাস রুম ও ল্যাব। ও ক্লাসের পরেও এক্সট্রা ক্লাসের সুবিধা।
- বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি লেখকের অসংখ্য বই সম্বলিত লাইব্রেরী।
- শিক্ষার্থীর পড়াশোনার অগ্রগতি সম্পর্কে অভিভাবকদের জানানো এবং অভিভাবকের সাথে শিক্ষক দের সরাসরি আলোচনার ব্যাবস্থা।
- শিক্ষামুলক প্রজেক্ট বাস্তবায়নে উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান।
- কোর্স শেষে প্রতিষ্ঠানেই চাকুরীর সুযোগ।
- কোর্স শেষে নিজস্ব ইউনিভার্সিটি – “সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি” তে ৫০% ছাড়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ।
- ৮০% শিক্ষক্ই শিপবিল্ডিং সেক্টরে চাকুরীরত ছিলেন, যে কারনে শিক্ষকরা বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে পাঠ দান করতে পারেন, যা এক মাত্র MASI তেই আশা করা যায়।